গহনা নারীকে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও সুন্দর করে তোলে। আগে দেশীয় পোশাকের সাথে মানুষ গহনা পরলেও এখন ওয়েস্টার্ন ড্রেসের সাথেও পরছে। গহনাতেও এখন অনেক বৈচিত্র্য এসেছে। ভারী গহনাও এখন সাজে ভালো মানায়। পোশাকটা হালকা, কিন্তু গহনা ভারী হলেই সাজ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আজকাল রেজিনের গহনা বেশ ট্রেন্ডি। রেজিনের লকেট মানাবে কর্ড বা পুঁতির মালার সাথেও। আর রেজিনের কাজগুলো এত নজরকাড়া হয় যে, একটা নেকপিসেই সাজ পরিপূর্ণ লাগবে। পমপমের হালকা নেকপিসে রং ঝলমলে ভাব ফুটে উঠবে। দিনের বেলা ঘুরতে যাওয়া বা আড্ডাবাজি উপলক্ষে এইগুলো হতে পারে সাজের যথার্থ অনুষঙ্গ। গলায় আর হাতে আর কিছু না পরে আঙুলে বড়সড় একটা আংটি গলিয়ে নিন, আর কানে এক জোড়া দুল, সাজ দারুণ হবেই হবে! মোগল আমলের মতো নকশা খচিত এসব আংটি দেখতে নজরকাড়া। গোল্ড প্লেটেড, তামা, অ্যান্টিক, পিতল, পার্ল, ব্রাসো নানা উপাদানে তৈরি করা হচ্ছে এ সময়ের গলার গহনাগুলো। বোল্ড, চাংকি, চোকার, বিব, কলার, এথনিক, লহরি চিক, বোহেমিয়ান বা হিপ্পি ধাঁচের দু-তিন ছড়ার নেকলেস নানা নামে ও ডিজাইনে গলার গহনাগুলো ফুটিয়ে তুলছে স্টাইলিশ লুক। রঙের ক্ষেত্রে তামা, গোল্ডেন, অক্সিডাইজড, সাদা, অফ হোয়াইট, বটল গ্রিন, মেরিগোল্ডসহ বিভিন্ন রঙের পাওয়া যাচ্ছে। মেটাল ও অ্যান্টিকের লম্বা গহনাগুলোর ডিজাইনে ফুটে উঠেছে নান্দনিকতা। ফুল, পাতা, কলকা, পয়সা, জ্যামিতিকসহ নানা নকশা ব্যবহার হয়েছে। এগুলো চাইলে সোনা দিয়েও তৈরি করতে পারেন। এথনিক গহনাগুলো অক্সিডাইজড রঙের। ছড়ানো এবং ভারী এক থেকে তিন ছড়ায় তৈরি হচ্ছে এই গহনাগুলো। এগুলো দেখতে ভারী, তবে ওজনে হালকা। ভারী গলার হার আর নেকলেসগুলোর কোনোটিতে ফুটে উঠছে ট্রাইবাল লুকও।